কক্সবাজার প্রতিনিধি ::::
শহরে এক শ্রেনীর প্রতারক নানা পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ চুরি করছে। এর মধ্যে অনেকেই অভিনব পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ চুরি করছে । এমন ১১ জন বিদ্যুৎ চোরের কাছ থেকে চলতি মাসে ৮১ লক্ষ ২০ হাজার ৭৩৬ টাকা জরিমানা আদায় করেছে কক্সবাজার বিদ্যুৎ অফিস।
সূত্র জানায়, শহরের খুরুশ্কুল রাস্তার মাথায় পিয়ার মোহাম্মদ বাবুলের মালিানাধীন টমটমের গ্যারেজ। ২০১৩ সাল থেকে যেখানে প্রতিদিন অর্ধ শতাধিক টমটমের ব্যাটারিতে চার্জ দেওয়া হয়। ওই গ্যারেজেই বৈদুত্যিক বিল কমাতে বাবুল শুরু থেকেই অভিনব পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ চুরি শুরু করে। মিটারের মধ্যে একটি সার্কিট বসিয়ে রিমোটের সাহায্যে মিটার নিয়ন্ত্রন করত তিনি। এভাবেই কেটে যায় সাড়ে ৩ বছর। অবশেষে চলতি বছরের মে মাসের শুরুতে বাবুলের ওই অভিনব চুরি পদ্ধতি ধরা পড়ে। পরে মিটার ডাটাবেজ পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখা যায় বাবুল সেই চুরি ২০১৩ সাল থেকে করে। আর এ কারণে চলতি মাসেই তাকে ৪৮ লক্ষ ৭৬ হাজার ১২৫ টাকা জরিমানা করা হয়।
এ বিষয়ে কক্সবাজার বিদ্যুৎ অফিসের সহকারী প্রকৌশলী মো. রিয়াজুল হক জানান, বাবুল রিমোটের সাহায্যে মিটার নিয়ন্ত্রন করত। দুই মাস পূর্বে তার ওই চুরি ধরা পড়ে। পরে তিন সদস্যের একটি বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি তদন্ত করে ২০১৩ সাল থেকে বাবুলের বিদ্যুৎ চুরির বিষয়টির সত্যতা পায়। এ কারনে তার কাছ থেকে ৪৮ লক্ষ ৭৬ হাজার ১২৫ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
তিনি আরো জানান, এছাড়া চলতি মাসে কলাতলীর সী স্টার কটেজ মালিককে বিদ্যুৎ চুরির দায়ে ২৮ লক্ষ ৯০ হাজার ৪২৭ টাকা জরিমানা করা হয়। তাছাড়া নানা উপায়ে বিদ্যুৎ চুরির দায়ে জহির উদ্দিনকে ৭৫ হাজার ৪ টাকা, লুৎফুর রহমানকে ১ লক্ষ ২০ হাজার ৭৪৭ টাকা, আযান আরা বেগমকে ৮ হাজার ৯৩৩ টাকা, বাদল দাশকে ৮ হাজার ৯৫৩ টাকা, অনিল কান্তি দত্তকে ১৪ হাজার ৮১৮ টাকা, মো. কালুকে ৪৯ হাজার ২২৮ টাকা, রহিমা খাতুনকে ৩৮ হাজার ১১৭ টাকা, বেলাল আহমদকে ৮ হাজার ১৪৭ টাকা এবং শ্যামল চৌধুরীকে ৩০ হাজার ২৩৭ টাকা জরিমানা করা হয়।
এ বিষয়ে কক্সবাজার বিদ্যুৎ অফিসের প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান জানান, অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ ও বিদ্যুৎ চুরির বিরুদ্ধে প্রায় প্রতিদিনই অভিযান চলে। এ মাসে অভিযান চালিয়ে ১১ জন বিদ্যুৎ চোরের কাছ থেকে ৮১ লক্ষ ২০ হাজার ৭৩৬ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
পাঠকের মতামত: